পলাশ ফুল ফুটতে দেখেছ? সারা শীতভর পাতা খসানো কঙ্কালসার গাছটা ধূসর আকাশের পানে শুকনো ডালগুলো মেলে যখন দাঁড়িয়ে থাকে, কোন’দিন ভেবেছ উষ্ণতার একটু পরশ পেলেই কি করে তার হৃদয় চিড়ে পলাশের পাপড়িগুলো রক্তবিন্দুর মত ফুটে ওঠে?
সেই কত বছর আগেকার কথা, কলেজে যাওয়ার রাস্তায় যখন বাসটা ময়দানের গা ঘেঁষে পার্ক স্টিটের দিকে একটু হেলে পড়ে মোড় ঘুরত, আমি জানালার পাশে সিটটায় বসে হাঁ করে ময়দানের পলাশ গাছটাকে দেখতাম। ইঁট, কাঠ, পাথরের ধূসর এই শহরটায় বসন্তই বা কি আর কীই বা শরত? হেমন্তের আশা তো করাই দুরাশা। তবুও ধুলো ওড়া, ন্যাড়া মাঠটার ধারে রিক্ত, রক্তাক্ত গাছটাকে দেখে মনে কেমন যেন দোলা লাগত। হয়তো বয়সটাই তখন অমন ছিল, অথবা মোটা, মোটা রোমান্টিক নভেল পড়ে, শীল্পির কল্পনায় আঁকা পলাশের রঙে মেতে, বসন্ত রাঙ্গানো পলাশের ওপর কবিদের লম্বা লম্বা দীর্ঘশ্বাস শুনে বুঝি আমিও পলাশ নিয়ে একটু বেশীই ভাবিত হয়ে উঠেছিলাম। যাই হোক, কলেজ জীবনের ঐ তিনটে বছর আমার মনের একতা কোণা রাঙ্গিয়ে, মাতিয়ে রেখেছিল ময়দানের সেই পলাশ।
তারপরের বছরগুলো কোথা দিয়ে যে কেটে গেলো তার হিসাব মেলাতে বসলে সব কিছু আরও বেহিসাবি মনে হয়। তাই তার হিসেব মেলাতে আর চেষ্টা করি না।
বেহিসাবি এই মনকে নিয়ে সেদিন বেড়িয়ে ছিলাম দাহানুর পথে বোর্দি বীচ যাব বলে। বোম্বের শীত তখন পালাই পালাই করছে, হাওয়ায় নরম রোদের ঊষ্ণ পরশ। শহরটাকে পিছনে ফেলে লম্বা সর্পিল হাইওয়ে ধরে গাড়ি ছুটছে, মাজে মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে ঠিকানা খুঁজছে, ভুলভাল অলি গলিতে ঢুকেও পড়ছে। এই রকমই একটা ভুল গলির মুখে থমকে থেমে দিক ঠিক করার চেষ্টায় ব্যাস্ত সবাই। এমন সময় চোখে পড়ল গলির বাঁকে চেনা মুখ, চেনা হাসি, চেনা সেই রঙ – নিবিড় নীল আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা পলাশ গাছ – ডালগুলো থেকে ফেটে পড়ছে আগুনরঙ্গা ফুল, মাটিতে লুটিয়ে আছে শুকনো পলাশের গালিচা।
বলব কি? অনেকদিন পর প্রিয়জনের সাথে দেখা, ইচ্ছে হল বুকে জড়িয়ে ধরি।
‘সেটা একটু বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে না?’ বলে বসল মন। অতএব, বাধ্য হয়ে ইচ্ছের ডানাটি ভাঁজে ভাঁজে মুড়ে তুলে রাখলাম আবার মনের কোণায়। ‘দেখা তো পেলাম আবার,’ মনে মনে হাসলাম।
আরো মজা কি জানো? সেদিন সারা পথ রাস্তার দুই ধারে অনেকগুলো পলাশ গাছ চোখে পড়ল, কয়েকটাকে ক্যামেরা-বন্দি করে বাড়িও নিয়ে এলাম। আর বিকেলে, বাড়ি ফেরার পথে ঢলে পড়া রোদের নরম আলোয় দেখলাম এই শহরটার আনাচে কানাচে, রাস্তার কোণায়, বাড়িগুলোর আড়ালে, বড় বড় হোর্ডিংগুলোর পিছনে বেশ ক’টা পলাশগাছ লুকিয়ে আছে। এতদিন নজরেই পড়েনি বা হয়তো ব্যাস্ততার মাঝে চোখ তুলে খুঁজিওনি আমি।
আরোও আশ্চর্য হলাম গতকাল। তিনটে নাগাদ গনগনে রোদে মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বেড়িয়েছি। কাল মতলব ছিল মেয়ের সাথে গল্প করতে করতে একটু লম্বা রাস্তা ধরে হেঁটে ফিরব। তাই স্কুলের পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে রাস্তার উল্টোদিকে, মাঠের গায়ের ফুটপাথটা দেখে আমি থ। মাঠের ঘাসে, ফুটপাথ জুড়ে সদ্য ঝরা পলাশের মেলা।
polash dekhte hole Jharkhand e aste hobe…Polasher mela lage ekhane…jongol er gachpalay mone hoi agoon legeche….tobe Bankura.Purulia teo kichuta ache…..otota na thakleo valoi polash gach dekhte paoa jai…….ekhon to shimul er o shomoy..tar sathe krishnochura..krishnochura futte ektu deri ..ohhh sob miliye jharkhand e thakar ekta alada anondo………….Jharkhand prokirtee r sathe mile mise ache…….prokirtee ke je bhalobase se nishchoy jharkhand keo bhalobasbe..
Soumik Mukherjee
মার্চ 26, 2013 at 10:37
polash dekhte hole Jharkhand e aste hobe…Polasher mela lage ekhane…jongol er gachpalay mone hoi agoon legeche….tobe Bankura.Purulia teo kichuta ache…..otota na thakleo valoi polash gach dekhte paoa jai…….ekhon to shimul er o shomoy..tar sathe krishnochura..krishnochura futte ektu deri ..ohhh sob miliye jharkhand e thakar ekta alada anondo………….Jharkhand prokirtee r sathe mile mise ache…….prokirtee ke je bhalobase se nishchoy jharkhand keo bhalobasbe..
Sujata Bose
ফেব্রুয়ারি 5, 2022 at 12:37
bhari sundor lekha…apnar proti ar ak polash premi r subhokamona roilo